রাঙামাটিতে টানা বর্ষণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলডিইডি) আওতাধীন জেলার বিভিন্ন স্থানে ৪০–৫০ কিলোমিটার সড়কে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
সওজের আওতাধীন রাঙামাটি ঘাগড়া চন্দ্রঘোনা, বাঙ্গালহালিয়া–বান্দরবান সড়কে ২১টি, চট্টগ্রাম– রাঙামাটি মহাসড়কে ১০টি, বাঙ্গালহালিয়া–রাজস্থলী সড়কে ৭টি, রাঙামটি–খাগড়াছড়ি সড়কে ৩টি, বগাছড়ি–নানিয়াচর সড়কে ২টি, রানীরহাট–কাউখালি সড়কে ১টি স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার সংস্কারে প্রয়োজন ৯কোটি টাকা।
এলজিইডির তথ্য মতে, সদর, কাউখালি, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সড়কের ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমাণ ৪০– ৫০কিলোমিটার। বাকি উপজেলায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান আছে বলে জানানো হয়।
বরকল বাসীন্দা আনোয়ার জানান, ভূষণছড়া এলাকাটি সবথেকে জনবহুল এলাকা। ভূষণছাড়া থেকে কলাবুনিয়া যাওয়ার সড়কটি বৃষ্টির সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে বিলিন হয়ে গেছে। যার কারণে কলাবুনিয়া এলাকার মানুষকে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এমনি ভাবে পাহাড়ি ঢলে জেলার সদর, কাউখালি, বাঘাইছড়ি, লংগদু, জুরাছড়ি, বরকল, রাজস্থলী উপজেলার বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার কোনটি পাকা আবার কোনটি আধাপাকা আবার কোনটি কাঁচা।
রাঙামাটি এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ শফি জানান, অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধস ও ঢলে রাঙামাটিতে এলজিইডি এর আওতাধীন ৪০–৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সকল সড়কে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, সড়ক ভাঙ্গন রোধে একটি প্রকল্প চলমান থাকায় এই অতিবৃষ্টিতে ভাঙ্গন কম হয়েছে। বিভিন্ন সড়কের ৪৪টি স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যা সংস্কারে ৯কোটি টাকা প্রয়োজন।
এসএ/দীপ্ত নিউজ