ইফতারির অন্যতম উপকরণ হাতে ভাজা মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মাগুরার মিলাররা। সারাদিনের রোজা শেষে ইফতারিতে রোজাদারদের পছন্দের অন্যতম জায়গা দখল করে আছে ছোলা মুড়ি সহ অন্যান্য উপকরণ। আর মুড়িটি যদি হয় হাতে ভাজা মুড়ি ইফতারের স্বাদ বেড়ে যায় অনেকটাই। তাইতো পবিত্র রমজান উপলক্ষে হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা পূরণ করতে মাগুরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মুুড়ি শ্রমিকরা।
মাগুরায় হাতে ভাজা মুড়ি তৈরির জন্য ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২৭ টি মুড়ির মিল গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে মাগুরা শহরের বাটিকাডাঙ্গা, বদ্যিবাড়ি মোড় ও শিবরামপুর গ্রামের মর্ডান মোড় এলাকায় মুড়ির কারখানা গড়ে উঠেছে। কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই লবন পানির সংমিশ্রনে মুড়ি ভাজার ফলে খেতে খুবই সুস্বাধু। মুড়ির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
একজন মিল মালিক বলেন, তিন বছর ধরে মুড়ি ব্যবসা করছি। ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক এখানে কাজ করে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলাতে যায় এই মুড়ি।
মিল কারখানায় কর্মরত একজন শ্রমিক বলেন, মুড়ির মান ভালো হওয়ায় আশেপাশের অনেকেই এখান থেকে মুড়ি কিনে নিয়ে যান ।
আরেকজন শ্রমিক বলেন, সারাবছরই আমাদের কাজের চাপ থাকে। তবে রমজান মাসে এ কাজের চাপ বেশি থাকে। রোজায় চাহিদা বেশি থাকায় অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে শ্রমিকদের।
মাগুরার প্রমোশন কর্মকর্তা মো: আজাহারুল ইসলাম বলেন, মাগুরাতে হাতে তৈরী মুড়ির অনেক চাহিদা রয়েছে। মাগুরার মুড়ি উদ্যোগক্তারা নিজ জেলার চহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলাতে রপ্তানি করছে। মুড়ি শিল্পের উদ্যোগক্তাদের প্রণোদনা ঋণের আওতায় সহায়তা করা হচ্ছে যা অব্যাহত রয়েছে।
বাড়ির পাশেই মুড়ির মিল গড়ে উঠায় পার্শ্ববর্তী অনেক নারীদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে এই কারখানাগুলোতে। ফলে সংসারে সচ্ছলতা আনতে ভূমিকা রাখতে পারছেন নারীরা।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ