রমজানকে কেন্দ্র করে গত বছরের তুলনায় এবার নিত্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলার পরিমাণ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এসব পণ্য বাজারে আসলে কোন ঘাটতি থাকবে না। আমদানিকারকদের অভিযোগ, বড় প্রতিষ্ঠান ছাড়া এলসি দিচ্ছে না ব্যাংক। যার প্রভাব পড়তে পারে বাজারে।
রমজান শুরু হতে আরও দেড় মাস বাকি। দেশে রমজানকে কেন্দ্র করে চাহিদা বাড়ে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর ডাল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ ও খেজুরের। যা নিয়ে প্রতিবছরই অরাজকতা বাড়ে।
কাস্টমসের তথ্য বলছে, আগের বছরের তুলনায় কম আমদানি হয়েছে ছোলা, চিনি ও পাম অয়েল। তবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে পেঁয়াজ ৪১ হাজার ৮৪০ টন বেশি আমদানি হয়েছে। এছাড়া অ্যাংকর, মসুর ডাল, খেজুর, গম ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের আমদানিও বেড়েছে। চিনি আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ কমলেও, ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ১৪ শতাংশ।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, এলসির সিদ্ধান্ত আমদানিকারক ও ব্যাংকের উপর নির্ভর করে। ছোট আমদানিকারকদের পিছিয়ে পড়ার প্রভাব পরে সাপ্লাই চেইনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছর, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রমজান কেন্দ্রিক পণ্যের এলসি প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি খোলা হয়েছে। এসব পণ্য সরবরাহ শুরু হলে বাজারে ঘাটতি থাকবে না।
ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। তাই শুল্ক ছাড়ের আহ্বান ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতির পরও বেড়েছে রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের দাম
এসএ/দীপ্ত নিউজ