বিজ্ঞাপন
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

রবিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে গাজা যুদ্ধবিরতি

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

আগামী রবিবার সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা একটি চুক্তি অনুমোদন করায় গাজায় যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত হয়।

এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি সহজ করা। একইসঙ্গে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে দুপক্ষের মধ্যে চলা প্রাঘাতী ও বিধ্বংসী এ যুদ্ধের অবসান।

ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক করে সরকার যুদ্ধবিরতির সময় নিশ্চিত করেছে।

সাধারণত জরুরি অবস্থা দেখা না দিলে সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় ইসরায়েলি সরকারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।

কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর গত বুধবার প্রাথমিকভাবে তা ঘোষণা করা হয়।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শেষ মুহূর্তের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে হামাসের জটিলতাকে দায়ী করে এটি চূড়ান্ত করতে আরও নেন। এরপর শুক্রবার ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা চুক্তিটি অনুমোদনের সুপারিশ করে এটি এগিয়ে নেয়।

চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে গাজায় আটক তিন ইসরায়েলি নারী ও ৯৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ররিবার মুক্তি দেওয়া হবে।

চ্যানেল১২ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন যে, তার দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরাইলে ফের অস্ত্র সরবরাহ শুরু হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা যদি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে না পারি, তবে যুদ্ধের জন্য আমাদের কাছে অতিরিক্ত সরঞ্জাম থাকবে না।’

এদিকে চুক্তি লঙ্ঘন না করতে ট্রাম্প ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিলেও দেশটির দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেনগভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচ এই চুক্তির বিরোধিতা এবং চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি দাবি করেছেন।

চুক্তি অনুযায়ী এ সময়ে হামাস প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। চুক্তির পূর্ণ শর্তাবলীর প্রতি তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করার একদিন পর শুক্রবার হামাস এ কথা জানায়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৮৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মানুষ বিভিন্ন মৌলিক সহায়তা পেতে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।

ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি হওয়াদের মধ্যে ৯৪ জন এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া যুদ্ধের আগে অপহৃত চার ইসরায়েলি রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।

আল

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More