আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর–৪ (পীরগাছা–কাউনিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব ও প্রার্থী আখতার হোসেনকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও মেরুরা ইসলামিয়া দ্বিমুখী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এ টি এম আজম খান।
সোমবার বিকেলে টেলিফোনে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আজম খান।
রংপুর–৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয় এই নেতা জোটগত আসন সমঝোতার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে সমর্থন ও শুভ কামনা জানান।
আজম খান বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জোটের বৃহত্তর স্বার্থে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি… আলহামদুলিল্লাহ। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোটসঙ্গী এনসিপির আখতার হোসেনের প্রতি আমার এবং আমাদের দলের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
এ টি এম আজম খান জামায়াতে ইসলামীর পরীক্ষিত নেতা এবং রংপুর মহানগর আমির। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য।
তিনি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মেরুরা ইসলামিয়া দ্বিমুখী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রংপুর–৪ আসনটি কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে আওয়ামী লীগ ছয়বার, জাতীয় পার্টি চারবার এবং বিএনপি একবার জয়ী হয়েছে।
এবার এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আখতার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন, সেখান থেকেই তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা।
২০১৮ সালে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের প্রতিবাদে একক অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ–সভাপতি এবং সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জাতীয় ছাত্রশক্তির প্রতিষ্ঠাতা।
আখতার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের(ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক এবং পুলিশি দমন–পীড়নের মধ্যেও আপসহীন থাকা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ।
জুলাই আন্দোলনে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই তরুণ রাজনীতিক।