রংপুরে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর পর্যটন মোটেলে এসইডিপির অন্তর্ভুক্ত এ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মশালায় রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার জেলা শিক্ষা অফিসার, কর্মসূচিভুক্ত ৩৪টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ অংশগ্রহণ করেন।
রংপুর জেলার জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো. হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম–এসইডিপির ডেপুটি প্রোগ্রাম কো–অর্ডিনেটর খন্দকার মিজানুর রহমান এবং স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিমের উপ–পরিচালক ড.আছিছুল আহছান কবীর। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মর্চির কো–টিম লিডার জনাব শামীম আল মামুন।
কর্মশালার প্রধান অতিথি রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা যদি তরুণ প্রজন্মকে যথার্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই তাহলে তাদেরকে খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং বই পড়ার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও ভ্রমণকাহিনী পড়লে তাদের সকল কুসংস্কার, সংকীর্ণতা, হীনতা দূর হবে। বইপড়ার মাধ্যমে তারা ভিন্ন জগতে প্রবেশ করতে পারবে, মনের জোর বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করতে শিখবে।
২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি হৃদয়ে ধারণ করে তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে তিনি সবাইকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান।
কর্মশালার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির কো–টিম লিডার জনাব শামীম আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির ডেপুটি টিম লিডার (প্রোগ্রাম) জনাব মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
এই কর্মশালার মাধ্যমে রংপুর বিভাগের ৩৪টি উপজেলার দুই হাজার পাঁচশত আটষট্টি (২৫৬৮) মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির বইপড়া কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এর ফলে আনুমানিক চার লক্ষ ছত্রিশ হাজার পাঁচশত ষাট (৪,৩৬,৫৬০) জন ছাত্রছাত্রী স্কিমের তালিকাভুক্ত বইগুলো পড়ে নিজেদের সমৃদ্ধ, মানবিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
এমি/দীপ্ত