দেশের প্রচলিত আইনে যৌন হয়রানির সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট না থাকায় এ সংক্রান্ত মামলার সুফল মিলছে না বলে মত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের। মঙ্গলবার সিরডাপ মিলনায়তনে গোলটেবিল আলোচনায় ভুক্তভোগীদের সহায়তায় কাজ করা ব্যক্তিরা জানান, মামলার দীর্ঘসূত্রিতা অনেক নারী আইনের জটিলতা মনে করেন।
হাইকোর্টের এক রায়ে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় বলা হয়, শারীরিক ও মানসিক যে কোনো ধরনের নির্যাতনই যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে। ই–মেইল, এসএমএস, টেলিফোনে বিড়ম্বনা, পর্নোগ্রাফি, যে কোনো ধরনের অশালীন চিত্র ও অশালীন উক্তিসহ কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সুন্দরী বলাও যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে।
বাসা–বাড়ি, অফিস ও চলার পথে নারীকে হতে হয় যৌন হয়রানির শিকার। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখান বলছে, ২০২৩ সালে ২৭৬টি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। যেখানে আত্মহত্যা করেছে ১২ জন, আর ৫ জনকে হত্যা করেছে নিপীড়করা।
তবে, অনেকেই নিপীড়িত হওয়ার পরও আইনী ব্যবস্থায় যেতে চান না।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, যৌন নিপীড়নের সুনির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ ধরনের অপরাধ রোধে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে মনিটরিং সেল করার কথা থাকলেও তার রিপোর্ট মিলছে না।
যৌন হয়রানি বন্ধে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার মনিটরিং ইউনিটসহ সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি।
আল / দীপ্ত সংবাদ