দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩৭ আসনে প্রার্থী প্রত্যাহার করছে। আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর মধ্যে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন, ১৪ দলকে ৭ আসন ও অন্যান্য দলের জন্য ৪টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দলটির কেন্দ্রীয় এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার রাতেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে পঞ্চম দফা বৈঠক করে আওয়ামী লীগ। ২৬টি আসন চূড়ান্ত হলেও জাতীয় পার্টি আরও অন্তত ১০টি আসন দাবি করছেন উল্লেখ করেন তিনি।
রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তাই বিকেল নাগাদ আওয়ামী লীগের ছাড় দেওয়া আসনের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে। ধানমণ্ডিতে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিং এ কথা বলবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানে এ সংক্রান্ত আলোচনা ওঠার কথা রয়েছে।
জাতীয় পার্টির ২৬ আসনের প্রার্থীরা হলেন–
ঠাকুরগাঁও–৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কিশোরগঞ্জ–৩ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু, রংপুর–১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, রংপুর–৩ আসনে জিএম কাদের, নীলফামারী–৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, কুড়িগ্রাম–১ আসনে মুস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম–২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনে সেলিম ওসমান, গাইবান্ধা–১ আসনে শামীম পাটোয়ারী, গাইবান্ধা–২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকার, সিলেট–৩ আসনে মো. আতিকুর রহমান, নীলফামারী–৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল ও বগুড়া–৩ আসনে নুরুল ইসলাম তালুকদার।
এ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনে আব্দুল হামিদ, চট্টগ্রাম–৮ আসনে সুলেমান আলম শেঠ, বগুড়া–২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাতক্ষীরা–২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, ফেনী–৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম–৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পটুয়াখালী–১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার, ময়মনসিংহ–৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ–৮ আসনে ফখরুল ইমাম, পিরোজপুর–৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি, হবিগঞ্জ–১ আসনে মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী, মানিকগঞ্জ–১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল ও বরিশাল–৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু।
আরও পড়ুন:
প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ