ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে এখন হামলা–পাল্টা হামলায় চরম মাত্রায় বিভক্তি দেখা দিয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে। যা ডেকে আনতে পারে আরেকটি বিশ্ব যুদ্ধের পরিণতি। তবে দেশের বিশেষজ্ঞের মতে এখনই বিশ্বযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
২০২৩ সালের পর ২০২৪ সালটাও শুরু হলো যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আফ্রিকা, এমনকি এশিয়াতেও শোনা যাচ্ছে বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও নৌ–ঘাঁটি পার্ল হারবারে। যার প্রতিশোধ নিতে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে পরিপূর্ণ বিশ্বযুদ্ধ রূপ পায়। এরপর অনেক ছোট–বড় যুদ্ধ হলেও পরিসরের ব্যাপকতা দেখা যায় নি। কিন্তু ভূ–রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এবার সেই সীমা লঙ্ঘন দেখা যাচ্ছে।
এরইমধ্যে ফিলিস্তিনে হামলা দীর্ঘ মেয়াদে করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। জবাবে ইয়েমেন হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে, ইরাক ও সিরিয়ার পর পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইরান। যুদ্ধ চলছে রাশিয়া–ইউক্রেনের মধ্যেও।
আরও পড়ুন: ড্রোন হামলায় হামাসের উপ–প্রধান নিহত
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আপাতত সম্ভাবনা নেই, মূলত স্বার্থের দ্বন্দ্বেই এসব হামলা–পাল্টা হামলা চলছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর অনেক দেশই এই মারণাস্ত্র তৈরি করেছে। তাই বিশ্ববাসী চাইবে না আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ, কেননা এর পরিণতি দেখেছেন হিরোশিমা–নাগাসাকিবাসী।
আরও পড়ুন: ইরানে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা, নিহত ৯
এসএ/দীপ্ত নিউজ