জেনারেল জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বিসিএস কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও মূল্যবোধের শিক্ষা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের (বিসিএস কর্মকর্তা) প্রশিক্ষণকে দেশের মানুষের জন্য ব্যবহার করতে হবে। আপনাদেরকে অবশ্যই দেশপ্রেমিক হতে হবে। কারণে আমরা যে টাকায় চলি, সেটা কৃষকদের পরিশ্রমের কারণেই আসে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তারা আমাদের জন্য পরিশ্রম করে। সুতরাং তাদের সেই পরিশ্রমকে মাথায় রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যেন আর্থিক সচ্ছ্বলতা পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন আমরা ভূমি উন্নয়ন করছি, আশ্রয়ের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করছি– এভাবে মানুষের কীভাবে আর্থিক সচ্ছ্বলতা আসে সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খাদ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি পরিবেশের কথাও ভাবতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের প্রতিটা উন্নয়ন যেন টেকসই হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশনের পরেও আমরা এখনও অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এগিয়ে রয়েছি। বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই। একসময় অনেকে বলেছিল, বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন সম্ভব না। শুনে কষ্ট হতো। কিন্তু পরে জিদ চেপে গেছিল। মনে মনে ঠিক করেছিলাম যে বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলবো, যেন সবাই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে (অংশীদারত্ব) এগিয়ে আসতে পারে। এখন কিন্তু বিদেশিরা সবাই জিজ্ঞাসা করেন যে ম্যাজিকটা কোথায়? তখন বলি, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোলেই জাতিকে উন্নত করা যায়।’
রপ্তানিকে বহুমূখীকরণ করতে হবে এবং এর জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজে নিতে হবে। আমরা এরই মধ্যে এসব বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। এখন আমরা ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি (অর্থনৈতিক কূটনীতি) অবলম্বন করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যেন আর্থিক সচ্ছ্বলতা পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন আমরা ভূমি উন্নয়ন করছি, আশ্রয়ের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করছি– এভাবে মানুষের কীভাবে আর্থিক সচ্ছ্বলতা আসে সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।’
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ