যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইরান–ইসরায়েল মধ্যে। ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তেহরানের ওপর তীব্র হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরান যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার সময় দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যেগুলো ইসরায়েল প্রতিহত করেছে। এরপরই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীকে তেহরানের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানার নির্দেশ দেন।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসতে জনগণকে নিরাপদ ঘোষণা করে সতর্কতা প্রত্যাহার করেছিল। এরপরই ইরানের হামলার অভিযোগ উঠে।
অবশ্য, ইরান এখনো ইসরায়েলের অভিযোগকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ আবারও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকালে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, আইডিএফ প্রধান এবং মোসাদের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে জানানো হয়, ইরানের বিরুদ্ধে চালানো ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইরানের পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা থেকে আসা তাৎক্ষণিক হুমকি দূর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ইসরায়েল দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে তার কঠোর জবাব দেয়া হবে।”