বুধবার, অক্টোবর ১, ২০২৫
বুধবার, অক্টোবর ১, ২০২৫

যশোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

যশোরের কেশবপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার দ্বায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ডের আদেশ ও একলাখ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত।

আসামি আনিসুর রহমান ওরফে রিমন কেশবপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোস্তফা দপ্তরির ছেলে।

রবিবার (৭ জুলাই) যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল১ এর বিচারক গোলাম কবির (জেলা ও দায়রা জজ) এ আদেশ দেন। একই সাথে এ মামলা থেকে আনিসুরের মা নাসিমা বেগম এবং বাবা আনিসুর রহমানকে খালাশ প্রদান করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল১ এর পিপি সেতারা খাতুন। নিহত মেরিনা খাতুন একই উপজেলার গড়ভাঙ্গা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে।

মামলা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রিপন ও মেরিনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রিপনকে নগদ চার লাখ টাকা দেয় মেরিনার পরিবার। এর কয়েকদিনের মাথায় ফের দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে রিপনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। টাকা না দেয়ায় মেরিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।

একপর্যায় ২০২২ সালের ৩ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে রিপন নেশা করে বাড়িতে ফেরে। টাকা না দেয়ায় মেরিনাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে নেয়া হয় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থার অবনতি হলে মেরিনাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়। আটদিনের মাথায় ১১ মে দুপুরে মারা যান মেরিনা। এরপরই পালিয়ে যান স্বামী রিপন।

এদিকে, এ ঘটনায় নিহতের বাবা উপরে উল্লেখিত তিন আসামি ও রিপনের খালাতো ভাই পাজিয়া গ্রামের আল আমিন ও রিপনের চাচা সাহেব আলীসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর রিপন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলাটি তদন্ত করে কেশবপুর থানার এসআই লিখন কুমার সরকার চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমাদেন। একই সাথে আল আমিনকে অব্যাহতির আবেদন জানান। বিচারক চার্জগঠনের সময় এ মামলার দুই আসামি সাহেব আলী ও আল আমিনকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে রবিবার বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে রিপনকে ফাসির আদেশ ও তার বাবামাকে খালাশ প্রদান করেন।

 

জুবায়ের/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More