দেশি–বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্বাবধানে অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে যমুনা নদীর ওপর যমুনা রেলওয়ে সেতুর। এখন চলছে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) কাঙ্ক্ষিত গতি ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে সফলভাবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে রেলওয়ে সেতুটির নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা। আগামীকাল জেনারেলের ইন্সপেকশন বাংলাদেশের রেলওয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই যেকোন সময় চলাচল শুরু করতে পারবে বাণিজ্যিক ট্রেন।
জাপান –বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর উপর দি সকাল সাড়ে নয়টায় চারটি কোচ ও একটি ইঞ্জিন সংযোজিত দুটি ট্রেন সেতুর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে একযোগে দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু করে। পরে ধাপে ধাপে বাড়ানো হয় গতি। এক পর্যায়ে কাঙ্ক্ষিত গতি ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে সক্ষম হয় পরীক্ষামূলক ট্রেন দুটি। প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান দাবি করেন জিআইবিআর এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই যেকোন সময় চলাচল শুরু হতে পারে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল।
২০২১ সালের ২১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই সেতুর। ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যায়ে ৫০টি পিলার ও ৪৯ টি স্প্যানের উপর নির্মিত এই সেতুটির চলতি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে হতে পারে উদ্বোধন।
সুমন/আল