জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া দেশে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রংপুরে জনসভায় যোগদানের আগে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমান বন্দরে নেমে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মব কালচার চলছে। কিন্তু এসব সহিংসতায় জামায়াতের কোনো কর্মী জড়িত নয়। ১৯৭২ সাল থেকেই এই পরিস্থিতি চলছে। জামায়াত সবসময় মব রাজনীতির বিরুদ্ধে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য আগে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর সেই পরিবেশ তৈরির জন্যই আমরা মৌলিক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’
যারা সহিংসতায় জড়িত, তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনা, এরপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।’
রংপুরে প্রায় ১৭ বছর পর জামায়াতের কোনো বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে উপস্থিত হয় হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক। মাঠ ছাড়িয়ে লোকসমাগম ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কজুড়ে।
‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’ এই স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে জনসভাস্থল।
দলটির ডাকে সাড়া দিয়ে রংপুরসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সরব উপস্থিতিত হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রংপুরের ৩৩টি আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জনসভা থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির রংপুর–দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
প্রার্থীরা হলেন রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী এবং লালমনিরহাট জেলার সবগুলো আসনের।
সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকেই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত কর্মী–সমর্থক রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাকে করে শহরে জড়ো হন।
জনসভা ঘিরে শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় নেতাদের মতে, রংপুর অঞ্চলের ৩৩টি আসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতেই এ আয়োজন।
‘জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার’, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন’সহ ৪ দফা দাবিতে রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
জামায়াত নেতারা বলছেন, এই জনসভার মাধ্যমে তারা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’র চেতনায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে চান এবং জনগণের কাঙ্ক্ষিত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা করাই তাদের লক্ষ্য।
জনসভায় ৩৩ জন প্রার্থীকে পরিচওয় করিয়ে দেওয়া হয়।
আল