ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছেড়েছেন তিন হাজারের বেশি বাসিন্দা। বন্ধ রাখা হয়েছে দোকানপাটও।
মোখার প্রভাব থেকে মানুষের নিরাপত্তার জন্য হোটেল ও রিসোর্টগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশ একযোগে কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে। এটি টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়াও মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাই সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন সেন্টমার্টিনের ১০ হাজার বাসিন্দা।
আর যারা এখনও দ্বীপটিতে রয়ে গেছেন তারাও আতঙ্কে আছেন। দ্বীপের বাসিন্দা শফিক বলেন, মানুষজন আতঙ্কে রয়েছে। যে যেভাবে পারছে দ্বীপ ছাড়ছে। বিশেষ করে মাছ ধরার ট্রলারে করে সকাল থেকে কয়েক হাজার মানুষ দ্বীপ ছেড়েছে।
সেন্টমার্টিন বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, মানুষের নিরাপত্তায় প্রশাসন সর্বোচ্চ সজাগ রয়েছে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন বাসিন্দাদের জীবন রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ