সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

মেহেরপুরে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে ফলন বিপর্যয়

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

মেহেরপুরে প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাপদাহে ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কৃষকের কপালে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর বারোটা পর্ষন্ত ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপ মাত্রা রের্কড করা হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস। মেহেরপুরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৩৮৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত তিনদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

মেহেরপুর মূলত কৃষি ভিত্তিক জেলা। এই জেলায় ধান, পাট, কচু সহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে মাঠের বিস্তীর্ণ নানা ধরণের ফসল। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে ব্যয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী সেচ লাগছে জমিতে। তেল ও সারের দাম বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছেন চাষীরা। কৃষি কাজে শ্রমিকও লাগছে বেশী। গরমের কারণে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে বোর ধান।

এবার খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কম হওয়ার আশংকা করছেন তারা। অন্যদিকে কচু চাষে মেহেরপুরের চাষীরা প্রতি বছর লাভের মুখ দেখলেও এবার অতিরিক্ত সেচ ও সার লাগায় লোকসান গুনতে হবে তাদের। খরার কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সেচকাজে দেখা দিয়েছে বিপর্যয় অবস্থা। বৃষ্টি না হলে স্বস্তি ফিরবে না মাঠ সহ জনজীবনে।

মেহেরপুরের এক কৃষক বলেন, ‘প্রচন্ড গরমে মাঠে কাজ করতে পারছিনা আমরা। সকাল ১১ টার পর রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। ৫ জনের কাজ ১০ জন শ্রমিক দিয়ে করাতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পানির লেয়ার। সেচ কাজে লাগছে অতিরিক্ত টাকা। উপর বৃষ্টি না হলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চাষীদের। খরায় ধান, কচু, পাট সহ উঠতি ফসল নিয়ে চিন্তিত আমরা।

অনু/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More