রাজধানী ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন রজনী নামে এক নারী। সোমবার (২১ জুলাই) তাকে ঢাকা সিএমএস হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত রজনী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাওট গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে। তার স্বামী জহিরুল ইসলাম ব্যবসায়িক সূত্রে ৩ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন।
সোমবার দুপুরে বিমান বিধ্বস্ত হওয়া খবর শুনে নিজের শিশুকন্যাকে বাঁচাতে শ্রেণিকক্ষের দিকে ছুটে গিয়েছিলেন রজনী। তবে তিনি যাওয়ার আগেই শিশুটি স্কুলের বাইরে বের হয়ে গিয়েছিল। এতে শিশুটি বেঁচে গেলেও অগ্নিদগ্ধ হন রজনী।
দগ্ধ অবস্থায় তাকে সিএমএস হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্বামীর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাদিপুর গ্রামে রজনীর লাশ দাফন করা হবে বলে পরিবারসূত্রে জানা গেছে।
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি স্কুল ভবনের ওপর এসে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে এই খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
পরে জানা যায়, বিমানবাহিনীর এফটি–৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান স্কুলটির চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমানের পাইলটসহ ৩১ জন নিহত হয়।