বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মানুষের হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন আজীবন বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফা ঘোষণার সময় থেকে তিনি জাতির পিতার একান্ত সহকারী হিসেবে অত্যন্ত একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এ জননেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে।
জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পেয়ে এসময় ছয় দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৬৭ সালে তার বহুমুখী প্রতিভায় মুগ্ধ প্রিয় কন্যা ফাতেমা খাতুনকে মোহাম্মদ হানিফের সঙ্গে বিয়ে দেন ঢাকার শেষ সরদার আলহাজ মাজেদ সরদার। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ