বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে ,মৃত্যুঞ্জয়ী ভাস্কর্যের মাধ্যমে ইতিহাস ভালোভাবে জানা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় নবনির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ‘ উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন সরকার প্রধান।
সরকার প্রধান বলেন, ক্ষুধা–দারিদ্র, অশিক্ষা, চিকিৎসাহীনতা, ভূমিহীন–গৃহহীন মানুষের ক্রন্দনে বাংলার আকাশ–বাতাস ভারী ছিল। এই বাঙালি জাতিকে আর্থসামাজিক মুক্তি দেয়ার জন্যই জাতির পিতার সংগ্রাম। এ দেশের মানুষের জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ছোটবেলা তোমরা শিশুরা অনেকেই তো বাবা–মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাও। কিন্তু আমাদের সেই সৌভাগ্য হয়নি। আমার তো বাবার সঙ্গে দেখা হতো কারাগারে। জেলগেটে মাসে দুইবার আমরা যেতে পারতাম। স্কুল থেকে জেলগেটে গিয়েছি, এমনকি কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায়ও জেলগেটে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করেছি। এই ছিল আমাদের জীবন। কিন্তু আমাদের কোনো ক্ষোভ ছিল না। কারণ আমরা জানতাম আমাদের বাবা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। স্বাধীনতার পর তিনি সেই চেষ্টাই করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
সরকার প্রধান বলেন, সারা দেশে ওয়াইফাই সুবিধা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ আধুনিক সব প্রযুক্তি স্থাপনা করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েছে দেশের মানুষ।
মৃত্যুঞ্জয়ী ভাস্কর্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে দেশের ইতিহাস আরও ভালোভাবে জানা যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে। বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে, বৃত্তি পাচ্ছে। উপবৃত্তির টাকা দরিদ্র মায়েদের মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিক্ষার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিশুরা দেশকে আরও উন্নত সমৃদ্ধ করা যাবে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ