দুই দিনের ভারী বর্ষন ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। বুধবার (০১ অক্টোবর) রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নদীর পানি বিপদসীমার ১১.৩৮।
নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারের স্লুইসগেট লিকেজ হয়ে মুহুরী নদীর পানি ফেনীর ফুলগাজী বাজারে প্রবেশ করে। এতে বাজারের প্রধান সড়ক আংশিক প্লাবিত হয়। এসময় বাজারের কিছু দোকান পাটে পানি ঢুকে পড়ে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টি বন্ধ থাকলে নদীর পানি হ্রাস পাবে।
জানা গেছে, ফুলগাজী বাজারে ফ্লাডওয়াল, স্লুইসগেইট ও পানি নিস্কাসনের ড্রেনেজ নির্মাণ সঠিকভাবে না করায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মুহুরী নদীর পানি ফুলগাজী বাজারে একই কায়দায় ঢুকে পড়ে। তবে নদীর পানি বাড়লে বাজারে দোকানপাটের ভেতর পানি ঢুকে পড়বে। এতে লোকসান গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের। বাজার ব্যবসায়ীদের দাবি গত এক বছরেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন লোকজনকে এসব সমস্যার সমাধান করতে দেখা যায়না। ব্যবসায়ীরা জানান, মুহুরী নদীর পানি বাড়লে ফুলগাজী সদর বাজার ব্যবসায়ীরা আতংকের মধ্যে দিন কাটেনি।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারের স্লুইসগেট, ফ্লাডওয়াল ও ড্রেনেজ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারসাজিতে প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলের পানিতে ফুলগাজী বাজার তলিয়ে যায়।
ফুলগাজী বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. এনামুল হক জানান, তিনি এই বাজারে প্রায় বিশ বছর ধরে ব্যবসা করছেন। তিনি বলেন, বাজারের সাবেক গরু বাজার এলাকা স্হানটি নিচু হওয়ার কারনে মুহুরী নদীতে পানি বেড়ে গেলে বাজারের পানি নিষ্কাশনের যে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়েছে সেখান দিয়ে বাজারে পানি ঢুকে।
তিনি আরও বলেন, অটো স্লুইসগেটের মুখটি নদীর দিকে না দিয়ে বাজারের দিকে দিলে পানি উঠার সাথে সাথে গেট বন্ধ হয়ে যেত, তাহলে বাজারে আর এতো পানি উঠতো না। এখানে সঠিকভাবে স্লুইসগেট, ড্রেন নির্মান ও ফ্লাডওয়াল উচু করলে বাজারে পানি প্রবেশ বন্ধ হবে।
ফুলগাজী উপজেলা সদর ইউনিয়ন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম জানান, তার ইউনিয়নে কোথাও মুহুরী নদীর ভাঙনের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বৃষ্টি বন্ধ থাকলে নদীর পানি এমনিতেই কমে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ফাহাদ্দির হোসাইন জানান, নদীর পানি সকাল থেকে দ্রুত বাড়লে সন্ধ্যা নাগাদ তেমন বাড়ছে না। তবে পানি না নামলে বেড়িবাঁধ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই কর্মকর্তা।
মামুন