কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে মিরপুর–১০ গোলচত্বর। এসময় ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির’ প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ পুরোপুরি পণ্ড হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টার পরে আন্দোলনকারীরা ধাওয়া দিয়ে পুলিশকে মিরপুর থানার দিকে নিয়ে যায়। পরে আবার পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের মিরপুর–১০ নম্বরের দিকে নিয়ে আসে। এসময় পুলিশ বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। জবাবে আন্দোলনকারীদেরও ইট–পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়।
সংঘর্ষের ফলে বন্ধ রয়েছে ওই এলাকার আশপাশের সব দোকানপাট এবং গাড়ি চলাচল। অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচার পাবে এবং তাদের হতাশ হতে হবে না।
এরপর দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি অনুযায়ী, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে এবং রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না বলে জানানো হয়।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ