মার্কিন সামরিক বাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল এম খান। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের ১৩ জুনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই পদোন্নতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৫৫ জন সামরিক কর্মকর্তাকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে উন্নীত করার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।
জানা যায়, শরিফুল এম খান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি সম্প্রতি মার্কিন বিমানবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এই সম্মানজনক পদমর্যাদা অর্জনকারী প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি–আমেরিকান তিনি।
শরিফুল খান পেন্টাগনে ‘গোল্ডেন ডোম ফর আমেরিকা’–এর ডিরেক্টর অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ পদে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৌশল, নীতি, পরিকল্পনা ও বহুমুখী সমন্বয় কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি সরকারি সংস্থা, শিল্প, একাডেমিয়া ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
১৯৯৭ সালে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স একাডেমি থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ওয়েবস্টার ইউনিভার্সিটি, এমআইটি, জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স কলেজ ও নেভাল ওয়ার কলেজসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল খানের সামরিক কর্মজীবন বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ, স্যাটেলাইট অপারেশন, স্পেস সিস্টেম ও লঞ্চ কার্যক্রমসহ ন্যাশনাল রিকনাইসেন্স অফিসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০১ সালে কুয়েতে এবং ২০০৭ সালে অপারেশন সাইলেন্ট সেনট্রি চলাকালে ডিপ্লয়মেন্ট কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি ৩১০তম স্পেস উইংয়ের কমান্ডার হিসেবে প্রায় ১ হাজার ৫০০ সামরিক সদস্য ও ১৯টি ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা দপ্তরের নীতি বিভাগ এবং স্পেস ট্রেনিং অ্যান্ড রেডিনেস কমান্ডেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শরিফুল খান ‘লেজিয়ন অব মেরিট’, ‘ডিফেন্স মেরিটোরিয়াস সার্ভিস মেডেল’, ‘মেরিটোরিয়াস সার্ভিস মেডেল’, ‘জয়েন্ট সার্ভিস কমেন্ডেশন মেডেল’, ‘আর্মড ফোর্সেস এক্সপেডিশনারি মেডেল’ এবং ‘এয়ার অ্যান্ড স্পেস অ্যাচিভমেন্ট মেডেল’সহ একাধিক সামরিক পদকে ভূষিত হয়েছেন।