মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে চমক দেখালেন সেই তিন জাহিদ। তিন জাহিদই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের মাঠে এই তিন জাহিদই ছিলেন সবচেয়ে বেশি আলোচনায়।এর মধ্যে একজন নৌকার প্রার্থী থাকলেও, দুইজনই স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচিত হন। তবে তারা সবাই আওয়ামী লীগ নেতা।
এরা হলেন, মানিকগঞ্জ–১ আসনে সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ। তার প্রতীক ছিলো ঈগল। মানিকগঞ্জ–২ আসনে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। তিনি ট্টাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। মানিকগঞ্জ–৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে মানিকগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার তাদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং জাহিদ মালেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, মানিকগঞ্জ–১(ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা) আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলো ৪ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৮০ টি।
এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ঈগল প্রতীক নিয়ে ৮৬ হাজার ৯৪১ ভোটে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৪২ ভোট।
মানিকগঞ্জ–২ আসনে (সিংগাইর, হরিরামপুর ও সদরের তিনটি ইউনিয়ন) মোট প্রার্থী ছিলো ১০ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯৩টি। এই আসনে ট্টাক প্রতীক নিয়ে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।
মানিকগঞ্জ–৩ আসনে(সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা) মোট প্রার্থী ছিলো ৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৪৩টি। এই আসনে নৌকার প্রার্থী জাহিদ মালেক পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গণফেরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল উদীয়মান সূয নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯১ ভোট।
এই আসনে নৌকার প্রার্থী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
জাহিদুল চন্দন / আল / দীপ্ত সংবাদ