দুই সহোদর মাইদুল ইসলাম শাহাদাত ও রাহাদুল ইসলাম গোলাপ। দু‘জনই মাদ্রাসায় পড়ত।
বাবা–মায়ের সংসারে সারা ঘর মাতিয়ে রাখত তারা। দুই সহোদর শাহাদাত ও গোলাপ অন্যদিনের মতো একই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে তারা। রাতের আঁধারে বসতঘরে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একইসঙ্গে তাদের দু‘জনের মৃত্যু হয়।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে জানাযা শেষে পাশাপাশি কবরে তাদের শুইয়ে দেয় স্বজনরা। জানাযায় আত্মীয়–স্বজনসহ এলাকার শত শত মুসল্লী অংশ নেন। এ সময় এলাকায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মা–বাবার আহাজারী দেখে অনেকে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
অশ্রুসজল সাইদুল ইসলাম রনি জানান, একসঙ্গে ‘রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিল শাহাদাত ও গোলাপ। পেট্টোল ঢেলে অগ্নিসংযোগে তারা মারা যান। স্বামী–স্ত্রী দুইজন জীবিত উদ্ধার হলেও দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে একসঙ্গে।
এদিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে একসঙ্গে দুটি লাশ বাড়িতে নেয়া হলে এক শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে শত শত নারী–পুরুষ ওই বাড়ীতে ভীড় জমায়। দুই শিশু সন্তানকে হারিয়ে মা–বাবা ও স্বজনরা শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে। বাদ আসর ফকির বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। জানাযাপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিন ও সাবেক কাউন্সিলর মজিবুর রহমান।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা হয়নি। মামলা পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পৃথক টিম কাজ করছে বলে জানান ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান। তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পেট্টোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আবদুল্লাহ আল–মামুন/শায়লা/দীপ্ত নিউজ