বর্তমানে নারী–পুরুষ নির্বিশেষে বহু মানুষই চুলের সমস্যা। কারও মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে, কারও আবার চুল আঁচড়ালেই চিরুনিতে উঠে আসছে চুলের গোছা! এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আগে জানতে হবে, কী কী কারণে পাতলা হয়ে যাচ্ছে চুল।
চিকিৎসকদের মতে, আপনি কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করলেন আর আপনার মাথাভর্তি চুল গজিয়ে যাবে, বিষয়টা কিন্তু একেবারেই তেমন নয়। মাথাভর্তি চুল চাইলে সবার আগে জীবনযাত্রায় বদল আনতে হবে। কী ভাবে তাড়াতাড়ি চুল গজাতে পারে?
চুল পড়ার আসল কারণ খুঁজে বের করুন
যে কোনও সমস্যার মূল থেকে সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত। চুল পড়ার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা না হওয়াই ভাল। চুল পড়তে পারে বিভিন্ন কারণে। জিনগত কারণে, শারীরিক কোনও অসুস্থতা থাকলে, কিংবা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ চুল পড়ার কারণ হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধি, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা কিংবা রজোনিবৃত্তির সময়েও চুল পড়তে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও পড়তে পারে চুল। পুষ্টির অভাবেও চুল ঝরতে পারে। আপনার কী কারণে চুল ঝরছে, সবার আগে কারণ খুঁজে বের করুন।
ভিতর থেকে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন
চুল পড়ার সমস্যা কমাতে শারীরিক ও মানসিক, উভয় স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এর জন্য বদল আনতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, বায়োটিন, জিঙ্ক, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, এবং ওমেগা–থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারগুলি চুল পড়া রোধ করতে উপকারী। এ ছাড়াও ভিটামিন সি, ই, অ্যান্টি–অক্সিড্যান্ট যুক্ত ফল, শাকসব্জিও চুলের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, প্রাণায়াম করাও চুল পড়া আটকানোর ক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা নিতে পারে। পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুম হচ্ছে কি না, সেই দিকেও নজর রাখুন।
চুলের পরিচর্যা
চুল নিয়মিত ট্রিম করতে হবে। মাথার ত্বক অপরিষ্কার থাকলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তাই সপ্তাহে দু’ থেকে তিন বার স্ক্রাব আর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুলের সাজসজ্জার জন্য অনেকেই হিট ব্যবহার করেন। এতে চুলের ক্ষতি হয়। এই অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভাল। চুলে অ্যামোনিয়া যুক্ত রং ও ব্লিচ ব্যবহার করবেন না, এতেও চুল ওঠে।
আল / দীপ্ত সংবাদ