মাছের আঁশ, যার শেষ ঠিকানা ডাস্টবিন। অথচ এটি রপ্তানি করে প্রতিবছর ২০০ কোটি টাকার বেশি আয় করে বাংলাদেশ। শুধু চীনেই প্রতি বছর প্রায় তিন হাজার টন মাছের আঁশ রপ্তানি হচ্ছে। এটিও এখন একটি শিল্পে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। অর্থাৎ এর একটি সম্ভাবনার বাজার তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।
মাছের আঁশের দুর্গন্ধ মোটেও সুখকর নয়। অথচ এটি রোদে শুকাতে দিলে রূপালি মুদ্রার আদল ধারণ করে। সরকার নজর দিলে এই খাতের আকার আরও বাড়বে বলে মনে করেন রপ্তানিকাররা। মিঠা পানির মাছের আঁশ রপ্তানির অপার সম্ভাবনা দেখছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরাও। প্রতিবছর সারা দেশ থেকে প্রায় ৩ হাজার টন মাছের শুকনা আঁশ রপ্তানি হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর দেশে মাছের চাহিদা ৩৮ লাখ টন। এর ৪০ শতাংশের বহিরাবরণই আবৃত থাকে আঁশে। কিন্তু সব তো আর সংগ্রহ করা হয় না। কারণ এ বিষয়ে নেই প্রয়োজনীয় সচেতনতা এবং সংগ্রহে নেই উদ্যোগ। সরকারিভাবে এই শিল্পটিকে আরেকটু এগিয়ে নিতে পারলে বেকার সমস্যার সমাধান হওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও লাভবান হতে পারে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ