রোগীদের জন্য ওয়ার্ডের ঠিকমতো ওষুধ না দেওয়া, ওষুধ না দিয়েই জোর করে সই করিয়ে রাখাসহ নানা অভিযোগে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঝিনাইদহ কার্যালয়।
রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৬ প্রতিষ্ঠান জরিমানা
এ সময় তারা অভিযুক্ত ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালের স্টোর কিপার গৌতম কুমার সরকারের কাগজপত্র দেখেন। সেই কাগজপত্রের ভিত্তিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের সাথে কথা বলেন। তবে অভিযোগ তদন্ত করে তারা সত্যতা পেয়েছেন কিনা এ বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে কিছু জানাননি ওই কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
তবে ওয়ার্ডের ঠিকমতো ওষুধ না দেওয়া, ওষুধ না দিয়েই জোর করে সই করিয়ে রাখা সহ নানা অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক তদন্ত করছে বলে স্বীকার করেছেন ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিন।
অভিযুক্ত স্টোরকিপার গৌতম কুমার সরকার বলেন, আমার স্টোরে এসে তারা আমার কাগজপত্র দেখেছে। সেই কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে তারা কথা বলেছে। আমার কাগজপত্র দেখেছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান বলেন, তথ্য উপাত্ত আমরা সংগ্রহ করছি সেই অনুযায়ী আমরা কমিশন বরাবর রিপোর্ট পেশ করব।
শ্রাবণ/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ