মাগুরায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে মুরগির মাংস কেটে বিক্রি। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ যাদের একটা আস্ত মুরগি কেনার সমর্থ্য নেই তারা চাইলেই এখন ১০০ গ্রাম ২০০ গ্রাম মাংস কিনতে পারছেন।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে নতুন বাজারে অবস্থিত ওই মুরগির দোকানে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ২৫০ গ্রাম থেকে আধা কেজি মাংস নিতে বেশ ভিড় জমেছে। ছোট পরিবারের অনেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আধা কেজি বয়লার ও সোনালি মুরগির মাংস। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মাংস প্রস্তুত করায় চাহিদাও বাড়ছে বেশ।
মাগুরা শহরের নতুন বাজারে অবস্থিত মুরগি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আর এই বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করছেন অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইনেসিয়েটিভ (এডিআই) ও পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন ( পিকেএসএফ)।
এখানে বয়লার মুরগি পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি ধরে। সেখানে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি। এছাড়া সোনালি মুরগি পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। বিপরীতে কেটে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি দরে। দামের এতটা পার্থক্য হওয়ার কারণ হিসেবে দোকানদার জানিয়েছেন একটা মুরগি কাটার পর তার চামড়া, পশম ও পেটের ভিতরের নাড়িভুড়ি ফেলে দিলে মূল মাংস ৬০০ গ্রাম দাঁড়ায়। যে কারণে দামের এই পার্থক্য।
আধা কেজি মুরগির মাংস কিনতে আসা মোঃ শিমুল মোল্লা বলেন, একটা মুরগি দুই থেকে আড়াই কেজি ওজন যা আমার পক্ষে কেনা সম্ভব না। যে কারণে বেশ কয়েকদিন মুরগি কেনা হচ্ছে না। হঠাৎ শুনলাম এই দোকানে কেটে মুরগির মাংস বিক্রি করছে। এখান থেকে নাকি ১০০ গ্রাম থেকে আধা কেজি যার যতটুকু লাগবে সে কিনতে পারছে যে কারণে আমি কিনতে আসলাম। আমি এখান থেকে আধা কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস নিয়েছি।
অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইনেসিয়েটিভ (এডিআই) এর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডঃ তুহিন মিয়া জানান, সকল শ্রেণীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে মুরগির মাংস আনার জন্য আমরা এই উদ্যোগে তাকে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নভাবে মাংসটা যাতে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায় তার জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা আমরা করে যাচ্ছি।
অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইনেসিয়েটিভ (এডিআই) মাগুরা শাখার সহকারী পরিচালক মোঃ আলীয়ার রহমান বলেন, সোনালী এবং বয়লার মুরগি সাধারণ মানুষের ক্রয়–ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। নিম্ন মদ্ধবিত্ত মানুষের মাংস স্বাদ মিটানোর জন্য বা প্রোটিনের স্বাদ মিটানোর জন্য আমরা শহরের নতুন বাজারে প্রাণিসম্পদ বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য সকল শ্রেণীর মানুষ যাতে মাংসের স্বাদ মেটাতে পারে। আমরা পর্যায়ক্রমে এটি জেলার সকল স্থানে ছড়িয়ে দিতে চাই।
মোঃ কাশেমুর রহমান শ্রাবণ/আফ/দীপ্ত নিউজ