মাগুরার মহম্মদপুরে রিয়াজ মোল্যা (৩০) নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) ভোর রাতে মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিয়াজ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দাবি করে দলের পক্ষ থেকে তাকে সরকার দলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে। তবে রিয়াজ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না বলে দাবি করছেন তার পরিবার।
নিহত রিয়াজের বাবা নিজাম মোল্যার জানান, মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলছিল রিয়াজ। এ সময় একই গ্রামের সিরাজ হোসেনের ছেলে ফজলু নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোরাপ হোসেন ডাকছে বলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রিয়াজ রাতে আর ফিরে আসেনি বাড়িতে। সকালে এক আত্মীয়র মাধ্যমে জানতে পারি রিয়াজের লাশ মোহাম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন নির্বাচনে তোরাপের পক্ষে কাজ না করায় পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈবুর রহমান তোরাপ এ ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, শুনেছি মাছ চুরি করতে গিয়ে ছেলেটি গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। সেখানে আমি বা আমার লোকজন জড়িত নয়।
অন্যদিকে জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আশরাফুজ্জামান শামীম অভিযোগ করে বলেন, রিয়াজ মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য। সরকারের দেয়া মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের দলীয় লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তবে পরিবারের দাবি রিয়াজ কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত।
মহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহানুল ইসলাম বলেন, রিয়াজ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে উপজেলার ফুলবাড়ি বাওড় থেকে বুধবার ভোর রাতে রিয়াজ বড়শি ও জাল দিয়ে মাছ চুরি করার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে আহতাবস্থায় রিয়াজকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাছ চুরির ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
মোঃ কাশেমুর রহমান/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ