ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ডাকাতির সময় মহাসড়ক ডাকাত চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, মোঃ সুজন (২০), মোঃ রাসেল (২৭), মোঃ আলাউদ্দিন (১৯), মোঃ বাদশা হোসেন দিপু (২৩), মোঃ সাব্বির (১৯), মোঃ হাবিবুর রহমান (১৯), মোঃ মিন্টু (২৩) ও মোঃ সিয়াম (১৯)।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১১ এর স্কোয়াড্রন লীডার (উপ-পরিচালক) এ কে এম মুনিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাব-১১ এর এই কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ডাকাতি নিরসনে র্যাব-১১ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত অভিযান ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং বিগত এক বছরে ডাকাতির বিরুদ্ধে ৩৫ টি অভিযান পরিচালনা করেছে এবং মোট ১১৪ জন ডাকাতকে বিপুল পরিমান অস্ত্রসস্ত্র সহ গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।
এই ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহষ্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল টহল পরিচালনা করতে করতে কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত যায়। দাউদকান্দি থেকে পুনরায় ফেরত আসার পথে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন চর বাউসিয়া এলাকায় পৌছালে র্যাব-১১ এর সাদা পোষাকের আভিযানিক দলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকা মুখি নির্জ্জন অন্ধকারাছন্ন জায়গায় যানজটে পড়ে। এ সময়ে সাধারণ যাত্রীবাহি গাড়ী মনে করে ১০/১২ জন দুর্ধর্ষ ডাকাত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সাদা পোষাকে থাকা র্যাব সদস্যদের গাড়ীটিকে ঘেরাও করে। তখন র্যাব সদস্যরা গাড়ী থেকে নেমে ধাওয়া করে কৌশলে এই ডাকাত দলের দলনেতা সহ ৮ জন সদস্যকে বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয় এবং আরো ৩/৪ অজ্ঞাতনামা ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১ টি রামদা, ৩ টি চাইনিজ কুড়াল, ১ টি স্টীলের তৈরি চাপাতি, ১ টি বড় ছোরা, ১ টি হাতুড়ি এবং ১ টি শাবল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারৃকতরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র এবং তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ১২-১৫ জন। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত সর্দার মোঃ সুজন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিল। গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০টির অধিক ডাকাতি করেছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতদের গ্রেফতারে র্যাব-১১ এর অভিযান চলমান থাকবে।
আটককৃত ডাকাত চক্রের সদস্যদেরকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।