টানা তিনবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফেল করা মানিকগঞ্জ–১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী আব্দুল আলী বেপারীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় মাটিতে লুটিয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে তার প্রার্থিতা বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং অফিসার রেহেনা আকতার।
প্রার্থিতা বাতিলের কথা শুনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রার্থিতা ফিরত চেয়ে মাটিতে পরে কান্নায় লুটিয়ে পরেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এসে তাকে শান্তনা দেয় এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের পরার্মশ দেন।
হলফনামাপত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জ–১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো.আব্দুল আলী বেপারী (৬০) মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বেড়াডাংগা এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক। কৃষিকাজের মাধ্যমে বার্ষিক আয় ২লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং তার কাছে নগদ ২লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। মো.আব্দুল আলী বেপারীর শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি স্বশিক্ষিত।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো.আব্দুল আলী বেপারী ২০২১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে ঘিওর উপজেলার সিংজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচনে পরাজিত হন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ–১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মাটিতে লুটিয়ে কান্নায় ভেঙে আব্দুল আলী বেপারী বলেন, আমি এখন আমার ভোটারদের মুখ দেখাবো কেমনে, আমি আর বাচুমনা। আমি ভোট দিতে না পারলে মরুম, আমার জীবন রাখুম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আমার ভোট আমাকে দিয়ে যেন মরতে পারি। আমার বিশ্বাস আছে, মানুষ আমাকে ভোট দিবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাবো। যে কোন চক্রান্তের মাধ্যমে আমার নমিনেশন বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি এই চক্রান্ত বিশ্বাস করি না। আমাকে আমার ভোট ( প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার) দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: তালিকা করে সন্ত্রাসী, মাস্তানদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ ইসির
জাহিদুল চন্দন / আল/দীপ্ত সংবাদ