বরগুনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভুয়া ডাক্তার ও অতিরিক্ত ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. শরিয়াত উল্লাহ–এর নেতৃত্বে শের–ই–বাংলা ফার্মেসী সড়কে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের সময় চারজন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে প্রথমে ফার্মেসীপট্টির ভুয়া ডাক্তার জহিরুল ইসলাম সৌরভের চেম্বারে নিয়ে আদালত পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আটককৃতদের সার্টিফিকেট পর্যালোচনা করেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. শরিয়াত উল্লাহ ও ডা. রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে সার্টিফিকেট যাচাই–বাছাই করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন–২০১০ এর ২৯ ধারায় দুইজনকে প্রতি জন এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন— বিধান রঞ্জন সরকার ও দীলিপ কুমার দাস। মুচলেকার মাধ্যমে তারা ডাক্তারি না করার অঙ্গীকার করেন।
এ ছাড়া বাকি দুই ভুয়া ডাক্তার— জহিরুল ইসলাম সৌরভকে দেড় বছরের কারাদণ্ড এবং এসকে লস্করকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
অভিযানে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. শরিয়াত উল্লাহ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সজল ও পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ জুন একই ধরনের অভিযোগে ৭ জন ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছিল। ওই অভিযানের তালিকায় জহিরুল ইসলাম সৌরভ ও বিধান রঞ্জন সরকারও ছিলেন। তখন তারা ডাক্তারি না করার মুচলেকা দিয়েছিলেন।
অভিযান প্রসঙ্গে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. শরিয়াত উল্লাহ বলেন, “ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
শাহ্ আলী