ভোলার মনপুরায় নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ৭ ফুট জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে ওই সমস্ত এলাকার আনুমানিক ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন বেড়বাঁধহীন চর কলাতলী ও চর নিজামে বেশিরভাগ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিখন বণিক জানান, দুর্গত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চর কলাতলীতে বেশ কিছু গরু ও ছাগল মারা গিয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) দিবাগত রাত থেকে টানা দমকা হাওয়াসহ ভারী বর্ষণে মনপুরা উপকূলজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে আজ (২৯ মে) বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টায় মেঘনার জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেখানকার নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩ হাজার বাসিন্দা। মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে।
পানিবন্দি দুর্দশাগ্রস্ত চরের বাসিন্দাদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়নের দাসের হাট, চর মরিয়ম, সোনার চর ও চর যতিন গ্রামের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়াও ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকা, আন্দিরপাড় গ্রাম ও কাউয়ারটেক এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকা ৭ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, মেঘনার পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়নসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। উপজেলা প্রশাসনকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’