যারা ভোট চুরির সাথে জড়িত থাকবে তাদের তালিকা করে ভিসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার (২৭ মে) বিকেলে নোয়াখালী জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, যারা সভা–সমিতিতে বাধাগ্রস্ত করবে, গুম–খুনের সাথে যারা জড়িত থাকবে, যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচনের শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্থ করবে, যারা সভা–সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করবে, তাদের তালিকা করে ভিসা বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এই ভিসার নীতিমালা শেখ হাসিনার দপ্তরে এসেছে এই মাসের ৩ তারিখে। কিন্তু সেই নীতিমালার চিঠি তারা পকেটে লুকিয়ে রেখেছে। কেন লুকিয়ে রেখেছে? কারণ, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে। ভিসা নীতিমালার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবাসাইটের মাধ্যমে। এই নীতিমালা দেখে প্রশ্ন উঠে, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি বাংলাদেশের উপর বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য কোন ধরনের সিদ্ধান্ত কোন দেশ থেকে আসেনি। এই প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুরো জাতিকে লজ্জিত করেছে তারা।
উল্লেখ্য, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং আওয়ামী লীগের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ সহ ১০দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে শনিবার (২৭ মে) শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিপলকের সামনে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস–চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, মো. শাহজাহান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম–মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার।
এছাড়াও জনসভায় জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরআগে দুপুর থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে একত্রিত হতে থাকে দলটির নেতাকর্মীরা।
আল/দীপ্ত সংবাদ