ভোট দিতে বাধা দেয়া ও কাউকে দিতে বাধ্য করা দুটোই মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে একথা জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।
১৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, তাহলে এটি কি নিরপেক্ষ থাকলো এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন করতে হয়। প্রত্যেকেরই অধিকার রয়েছে নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া। কেউ যদি নির্বাচন না করতে চান তাহলে তিনি অধিকারটি রাখলেন না।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ভোট দেওয়া এবং ভোট অংশগ্রহণ করা একটি অধিকার। ভোট না দেওয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ না করাও একটা অধিকার।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে উদ্যোগ নিতে কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। একইসঙ্গে ভোট দেয়ার পর সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের ওপর যাতে কোনো সহিংসতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশগুলোর সাথে একমত ইসি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ