এবার ভোটের আগে পরে আট দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব এসেছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) নির্বাচন ঘিরে প্রাক–প্রস্তুতিমূলক আইন–শৃঙ্খলা বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিবসহ আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ইসি সচিব বলেন, এবার ভোটে পাঁচ দিন আইন শৃঙ্খলা–বাহিনী রাখার পরিকল্পনা ছিল। আজ বৈঠকে আট দিন রাখার প্রস্তাব এসেছে। এটা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হবে।
সচিব জানান, ভোটের আগে তিন দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরে নিরাপত্তায় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সেনা সদস্য মোতায়েন থাাকবে। দেড় লাখ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ভোটে সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার দায়িত্ব পালন করবে।
আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ইন এইড টু সিভিস পাওয়ারের অধীন নাকি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। আরপিও সংশোধন হয়ে এলে বলা যাবে।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ৮ দিনের জন্য মাঠে নেমেছিল সশস্ত্র বাহিনী। তবে যাতায়াতের জন্য আরো পাঁচ দিন সময় নিয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ দিন মাঠে নেমেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, কোনো শঙ্কা প্রকাশ করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।