ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও মিল মালিকদের সংগঠন বনস্পতি।
পাঁচ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হলেও ভোজ্যতেল আগের দামে ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল দাম নির্ধারণে ট্যারিফ কমিশন কাজ করছে। আমদানি মূল্য দেখে ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সয়াবিন তেলের মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর কারণে লিটারে তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা। তেল–চালের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে রাজস্ব আদায় যৌক্তিক না। এটির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত।
প্রসঙ্গত, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদনে ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট পাঁচ শতাংশ কমায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
গতকাল এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা।
তেলের দাম বাড়াতে গতকাল (সোমবার) বাণিজ্য সচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকরা। সেখানে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা এক লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠিও আমি এখনো পাইনি, যদি পাঠিয়ে থাকেন অফিসে গিয়ে দেখতে হবে।
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ