আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আর সঠিক পরিচর্যায় মানিকগঞ্জে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ভুট্টার আবাদও হয়েছে বেশি। অল্প কিছুদিনের মধ্যে উৎপাদিত এসব ভুট্টা বাজারে বিক্রি শুরু হবে। চলতি বছর বাজারদর ভালো হওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় জানায়, জেলায় চলতি মৌসুমে ভূট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার হেক্টর জমি। তবে এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ১৭ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। ভুট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় লক্ষমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২০ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সাতটি উপজেলাতেই ভুট্টার চাষ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে খরচ হয়েছে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে চলতি মৌসুমে ৩৫ থেকে ৪০ মণ ভুট্টা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারদর ভালো থাকলে উৎপাদন খরচের তিনগুন লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকার সমসের মোল্লা নামের এক কৃষক বলেন,আমি পাঁচ বিঘা জমিতে এ বছর ভূট্টার আবাদ করেছি,ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে । ভুট্টাগুলো কয়েকদিন পর থেকেই বাজারে বিক্রির উপয়োগী হয়ে যাবে। বাজারদর ভালো হলে তিনগুন লাভ হবে।
সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী এলাকার কৃষক রিপন মিয়া বলেন, আমি আগে অন্য ফসল আবাদ করেছি বেশ কয়েক বছর কিন্তু খরচ উঠলেও লাভ তেমন হয়নি। পরে অনেক ভেবে চিন্তে ভূট্টার আবাদ করেছি। আমাদের এই অঞ্চলে চাষীরা এ মৌসুমে অন্য ফসল আবাদ না করে তারা বেশিরভাগই ভূট্টার আবাদ করেছে।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ এনায়েত উল্লাহ বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ভূট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদি জমি’র পরিমান বেশি। মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কর্মকর্তারা চাষীদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে যাতে করে ভূট্টার ফলন ভালো হয়। এখন ভূট্টার বাজার মূল্য ভালো পেলে তারা খরচ বাদেও কয়েক গুন লাভ করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
আল/দীপ্ত