নোয়াখালীর ভাসানচরে ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে সরকার। কক্সবাজারের চাপ কমাতে সরকারের এই পদক্ষেপ। ভাসানচরে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা আছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমবিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জানান, বন্ধু রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রথম প্রস্তাব হলো, রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে নেওয়ার খরচ বহন করা। আর দ্বিতীয় প্রস্তাব হলো রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে আরো নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা।
প্রথম প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ‘সরকার ভাসানচরে এক লাখ লোকের বসবাসের জন্য আবাসন তৈরি করেছে। এরই মধ্যে সেখানে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা নেওয়া হয়েছে। আরো ৭০ হাজার রোহিঙ্গা সেখানে আমরা নিতে চাই। এই স্থানান্তর ব্যয়বহুল বিষয়। বন্ধু রাষ্ট্র যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করে, রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে নেওয়ার খরচ তারা যেন বহন করে। প্রধানমন্ত্রী এটি আন্তরিকভাবে চাইছেন।
নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার (১ মার্চ) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির সফর করেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ