ভারতে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৭০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১১১ জনে। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের, ফলে চলতি বছরে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪ জনে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে দিল্লি, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ৪৩ বছর বয়সী সুস্থ ব্যক্তি ছিলেন, যিনি দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগে ভোগেননি। অন্যদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ৬০ বছরের ওপরে এবং তারা শ্বাসযন্ত্র বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা দিয়েছে দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে। সেখানে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ২৩ জন। একদিনে সর্বোচ্চ ৭০৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এ রাজ্যেই। গুজরাটে একদিনে ১৪৪ জন শনাক্ত হয়েছেন, সক্রিয় রোগী ১ হাজার ২৩ জন। রাজধানী দিল্লিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী ৫৭৭ জন।
সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে সতর্কতা অবলম্বন ও পূর্ব প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনা ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসগুলোর উপসর্গ প্রায় এক হওয়ায় বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নাগরিকদের মাস্ক পরা, নির্দিষ্ট সময় পরপর হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকা—এইসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য বাড়তি সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের মতে, করোনার এক্সএফ.৭, এক্সএক্সবি, জেএন.১ এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট এবি.১.১.১ এর কারণে সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্টগুলোর গুরুতর সংক্রমণ ঘটানোর সম্ভাবনা তুলনামূলক কম বলে মনে করা হচ্ছে।