সাম্প্রতি ভারত সরকার জুয়া সংক্রান্ত সব অনলাইন ও ফ্যান্টাসি গেমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গত ২১ আগস্ট এ নিয়ে দেশটিতে পাস হয়েছে ‘প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব গেমিং বিল ২০২৫’।
ভারতের জার্সি স্পন্সর ‘ড্রিম ১১’ ওই ধরনেরই অ্যাপ।
এর প্রভাবেই ড্রিম ১১ তাদের স্পনসরশিপ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। চুক্তিটি মূলত ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈধ থাকার কথা ছিল, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৫৮ কোটি টাকা)।
আর সে কারণেই আসন্ন এশিয়া কাপে প্রধান পৃষ্ঠপোষক (স্পন্সর) ছাড়াই খেলতে নামবে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
নতুন স্পন্সর খুঁজতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দরপত্র আহ্বান করেছে বিসিসিআই। সেখানে বলা হয়েছে, আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অফেরতযোগ্য ৫ লাখ রুপি দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্র নিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিতে হবে ৫ হাজার ৬৭৫ ডলার।
দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর। তার আগেই (৯ সেপ্টেম্বর থেকে) শুরু হয়ে যাবে এশিয়া কাপের আসর। তাই এশিয়া কাপে ভারতের জার্সিতে মূল স্পন্সরের কোনো লোগো দেখা যাবে না।
মোট ১০ ধরনের প্রতিষ্ঠান ভারতীয় দলের স্পন্সর হতে পারবে না। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিসিসিআই।
যে ১০ ধরনের প্রতিষ্ঠান স্পনসর হতে পারবে না—
ভারতে বা বিশ্বের কোথাও অনলাইন গেমিং, বেটিং বা জুয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান।
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ক্রিপ্টো ট্রেডিং বা ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বা ক্রিপ্টো টোকেন বা ক্রিপ্টো কারেন্সি বা ওই ধরনের কোনও ব্যবসায় জড়িত প্রতিষ্ঠান।
মদ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
পর্নোগ্রাফি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
ক্রীড়া পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
ব্যাঙ্ক ও আর্থিক পরিষেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান এবং নন–ব্যাঙ্কিং আর্থিক পরিষেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান।
কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
পাখা, মিক্সার গ্রাইন্ডার এবং তালা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
বীমা প্রতিষ্ঠান।
অভি/এসএ