কাশ্মীরসহ পাকিস্তানের নয়টি স্থানে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক আহ্বান করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। স্থানীয় সময় বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় ইসলামাবাদে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সামরিক বাহিনীর তিন শাখার প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভারতীয় আগ্রাসনের জবাব এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক সরকারি বিবৃতিতে ভারতীয় হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র শামিল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কড়া জবাব দেয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে এবং সেটিই আমরা করছি। পাকিস্তানের জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত।’
এর আগে ভোররাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তান দাবি করেছে, এই হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। জবাবে সীমান্ত এলাকায় পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও।
ভারত সরকার জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল পহেলগামে এক বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবেই এই সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওই হামলার জন্য তারা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোকেই দায়ী করছে।
দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে এই নতুন উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে উভয় পক্ষের কূটনৈতিক উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।