নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভাত না খেয়ে জীবনের ৩৭টি বছর কেটে গেছে রাজু ইসলাম। জন্মের পর থেকে একবারও ভাত খাননি, এমনকি ভাতের ‘গন্ধ’ সহ্য করতে পারেন না তিনি।
রাজু সৈয়দপুর শহরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের পশ্চিমপাড়ার মমতাজ উদ্দীনের ছেলে। পেশায় দিনমজুর রাজু চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়।
রাজু বলেন, জন্মের পর থেকে আমি ভাত বা চালের তৈরি কোনো খাবার খেতে পারতাম না। ভাত দেখলেই অস্বস্তি বোধ হয়। আমি সবসময় রুটি, কলা, চিড়া, দই, ফলমূল খেয়ে আসছি।
রাজুর বাবা মমতাজ উদ্দীন বলেন, জন্মের পর ছয় মাস পর তাকে বাড়তি খাবার হিসেবে চালের তৈরি নরম খাদ্য ও ভাত মুখে দিলে সে ফেলে দিত, বমি করত। তাকে শত চেষ্টা করেও আমরা ভাত খাওয়াতে পারিনি।
মা সালমা বেগম বলেন, বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেও রাজুকে ভাত খাওয়ানো সম্ভব হয়নি। ডাক্তার–কবিরাজ দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। বরং ভাত দেখলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
স্ত্রী শানু বলেন, বিয়ের আগেই এ বিষয়টি আমি শুনেছি। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমাদের বাড়িতে ভাত, পোলাও এবং বিরিয়ানি রান্না হয়েছিল। কিন্তু এসবের কিছুই তিনি খাননি, খেয়েছিলেন রুটি।
সৈয়দপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলেমুল বাশার বলেন, মানুষের বেড়ে ওঠা নির্ভর করে বিভিন্ন খাবারের ওপর। যেমন শর্করা, আমিষ, স্নেহজাতীয় খাবার। উনি যেহেতু ভাত ছাড়া রুটিসহ অন্য সব খাবার খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
ইয়াছিন/এসএ/দীপ্ত নিউজ