ভাতিজির বান্ধবী পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে সবাইকে অচেতন করে কৌশলে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। ফেনী শহরের পশ্চিম ডাক্তারপাড়ায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৮ জানুয়ারি রবিবার ফেনী পৌরসভার পশ্চিম ডাক্তারপাড়া রফিক ম্যানশনের তৃতীয় তলায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাসার গৃহপরিচারিকা বাসা পরিষ্কার করছিলেন। তখন দরজা খোলা পেয়ে কৌশলে গ্রেপ্তারকৃত তানিয়া আক্তার সাদিয়া বাসায় ঢুকে নিজেকে অতিথি হিসেবে পরিচয় দেন। পরে রফিকের স্ত্রীর সাথে গল্পের ছলে স্বর্ণালংকারের কথা জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে তাদের অচেতন করে আলমারি থেকে ৭ ভরি ৮ আনা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওইদিন বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়ায় একটি বাড়িতে চুরি করতে গেলে এ চক্রের ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। তারা হলেন– গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গজারিয়া পাড়ার হাসান সিকদারের মেয়ে তানিয়া আক্তার সাদিয়া (৩২), পিরোজপুর জেলার নতুন বাজার গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে বাপ্পি হাসান নাহিদ (২৬) এবং ঢাকার আদাবর আলিফ হাউজিংয়ের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৪৫)। এ সময় চক্রের মহিলা সদস্যের কাছ থেকে এক ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতারক তানিয়া আক্তার সাদিয়া ঘরে আসার পর নিজেকে আমার আমেরিকা প্রবাসী ভাতিজি বর্ষার বান্ধবী পরিচয় দেয় এবং তারা একসাথে আমেরিকায় থাকে বলে জানায়। তখন আমার স্ত্রী তাকে বসতে বলে। দুপুরে খাবার খেতে বাসায় এসে আমার স্ত্রীকে কিছুটা অসুস্থ দেখি। এছাড়া বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো, আলমারি ও গয়নার বাক্স খোলা অবস্থায় দেখতে পাই। পরে আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রতারককে শনাক্ত করি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের তিনজনকে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে দিন দুপুরে স্বর্ণ দোকান থেকে লুট; গ্রেফতার ৬
মামুন/ আল / দীপ্ত সংবাদ