ভাতা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে ফেনীতে এক গ্রাম পুলিশকে পুলিশে দিলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার বিকেলে (২২ অক্টোবর) ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক লিটন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইয়াসিন (৪২) ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের দায়িত্বরত ও মধ্যম মাথিয়ারার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।
জানা গেছে, তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে বৈঠক বসে। বৈঠকে ভুক্তভোগীর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ইয়াসিনকে ফেনী মডেল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ইয়াসিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আলেয়া বেগম জানান, ইয়াসিন গত দুই বছর আগে তার ২ বোন ও তাকে গর্ভবতী ভাতার কার্ড করে দিবে বলে ১৫ হাজার টাকা নেয়। পরে সে কার্ডও করে দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি।
আকলিমা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী জানান, তাকে গর্ভবতী ভাতার কার্ড দিবে বলে দুই বছর আগে চার হাজার টাকা নেয় ইয়াসিন। কিন্তু অধ্যবধি ভাতা না পেয়ে চেয়ারম্যান এর কাছে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ ইয়াসিন জানান, করোনার সময় টাকা–পয়সার অভাবের কারণে আমি কয়েকজন থেকে ৩০–৪০ হাজার টাকা নিয়েছি। আমি টাকাগুলো ফেরত দিয়ে দিবো।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক লিটন জানান, গ্রাম পুলিশ ইয়াসিন সাবেক চেয়ারম্যানের সময় থেকে এ অপকর্মগুলো করে আসছে। আমি বিষয়টি শোনার পরপরই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীদেরকে পরামর্শ দিয়েছি। ভুক্তভোগীরা মামলা দেয়ায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মামলা দায়ের এর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ