যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ভয়ংকর টর্নেডোর আঘাতে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১শ‘জন। টর্নেডোয় বিধ্বস্ত অনেক ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে এ তাণ্ডব চালিয়েছে টর্নেডো। খবর বিবিসির।
মিসিসিপির জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা একাধিক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, পশ্চিম মিসিসিপির সিলভার সিটিতে ঝড় আঘাত হানার এখনও চারজন নিখোঁজ হয়েছে। এছাড়া মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
কর্নেল নাইট নামে এক বাসিন্দা মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, স্ত্রী এবং তিন বছর বয়সি মেয়েকে নিয়ে রোলিং ফর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন তিনি। টর্নেডো আঘাত হানার ঠিক আগেও শহরটি বেশ শান্ত ছিল। টর্নেডো আঘাত হানার মুহূর্তের পরিস্থিতি বর্ণনায় তিনি বলেন, আকাশ একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। ওই সময় প্রায় প্রতিটি ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে মিসিসিপির রক–ফোলিং শহরের লড্রিজ ওয়াকার জানিয়েছে, টর্নোডেতো এ শহরের ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকারী দলের প্রধান টড টেরেল এবিসি নিউজকে বলেছেন রোলিং ফর্ক বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এখানে অনেক মানুষ তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছে।
মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস এক টুইটাবার্তায় জানিয়েছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে।
২০১১ সালে মিসিসিপিতে টর্নেডোর আঘাতে ১৬১ জনের মৃত্যু হয়।
আফ/দীপ্ত সংবাদ