ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হওয়া সাকিব আল হাসানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বোলিংয়ে ফেরার জন্য সাকিব ইতোমধ্যে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে দুঃখজনকভাবে, তিনি প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে সাকিবের বোলিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য বড় এক ধাক্কা।
আগামী ১২ জানুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক স্কোয়াড জমা দেওয়ার শেষ সময়। এর আগে সাকিব যদি তার বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করে সবুজ সংকেত না পান, তবে তাকে স্কোয়াডে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে।
সাকিব আল হাসান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ বহুবার সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু তার অনুপস্থিতি দলের পরিকল্পনায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং সাকিব আল হাসান বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সময় খুবই কম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় আসরে সাকিবের অভিজ্ঞতা দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাকিবের বোলিং পরীক্ষা এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য হতাশাজনক। সাকিব দ্রুত বোলিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে ফিরবেন, এটাই প্রত্যাশা।