সমালোচনা যেন জায়েদ খানের পিছু ছাড়ছে না। তবে, চলচ্চিত্র সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যতটা না, তার চেয়ে বেশি আলোচনা–সমালোচনা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এবার বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে, কিংবদন্তী নায়ক ফারুক অভিনীত ‘সারেং বউ‘ ছবির আবদুল জব্বারের গাওয়া ‘ওরে নীল দরিয়া‘ গানটি ভুল কথায় বেসুরো ভাবে গেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
তবে এই নায়ক বলেন, মানুষ তার কণ্ঠে গান শুনে মজা পায়। একটি গণমাধ্যমে জায়েদ বলেছেন, তার সবকিছুতে মানুষের তুমুল আগ্রহ আছে। এ কারণে তিনি কিছু করলেও তাই নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
জায়েদ বলেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচন, সিনেমা ঘিরে মানুষ অনেকদিন অধীর আগ্রহ নিয়েও আমার নতুন কিছু পাচ্ছে না। এর মধ্যে একাধিক টিভি শোতে গিয়ে গান গেয়েছিলাম। সেগুলো দেখে মজা পাচ্ছে। যেহেতু আমি একজন এন্টারটেইনার তাই মানুষদের এন্টারটেইন করতে আমিও আনন্দিত।
বিষয়টিকে জায়েদ খান এন্টারটেইন হিসেবে নিলেও নেটিজনরা এটিকে পজিটিভলি নেননি, অনেকেই লিখছেন, ‘বিখ্যাত এই গানটি বেসুরে গেয়ে জায়েদ এভাবে গেয়ে অপমান করলো।‘
কাজী এম মোর্শেদ নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আজকাল পপুলার হওয়ার সহজ রাস্তা বাইর হইছে– গান গাওয়া। একটা বা একাধিক গান নিবেন, সেইটাকে ধর্ষন করেন, লোকমুখে আপনার নাম ছড়ায় যাবে। এই কাজ করে বিখ্যাত হইছেন মাহফুজুর রহমান, হিরো আলমরা।‘
এক নাট্য পরিচালক লিখেছেন, ‘জায়েদ খানের কণ্ঠে ‘ওরে নীল দরিয়া‘ শুনার পর আমি গানটার আসল রিলিক্স ভুলে গেছি।‘
মেহেদি হাসান নামে একজন লিখেছেন, ‘গান শুইনা হিরো আলমের প্রতি কেন জানি শ্রদ্ধা জন্মাইলো।‘
এ বিষয়ে জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি দাবী করেছেন, “সেদিন অনুষ্ঠানে আমাকে জোর করে গানটা গাওয়ানো হয়েছে। সেদিন অনেক আবেগী ছিলাম। অনুষ্ঠানে আমাকে জোর করা হয়েছে ফারুক ভাইয়ের গান গাওয়ার জন্য। আমি আবেগে একটু ভুল গেয়েছি, আয়োজনেই সেজন্য ক্ষমা চেয়েছি।”
আল/দীপ্ত সংবাদ