বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারত ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের কর্মযজ্ঞ অনেকটাই কমে গেছে। ফলে সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িতরা বেকায়দায় রয়েছেন। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে।
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত–বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াতকারীদের সহযোগিতায় সীমান্তে গড়ে উঠেছে নানা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আছে চেকপোস্ট এলাকায় মানি একচেঞ্জ থেকে শুরু করে, দূরপাল্লার বাস কাউন্টার, ট্যুর গাইড, ভিসা সহায়তা কেন্দ্র, বাস–ট্রেন–প্লেনের টিকিট বুকিং এজেন্সি এবং হোটেল–রেস্তোরাঁ। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান এখন খারাপ সময় পার করছে।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত বিধিনিষেধ আরোপ করায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। যশোরের বেনাপোল দিয়ে যাত্রী যাতায়াত কমে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। বেকায়দায় পড়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, ৫ আগস্টের আগে যাত্রীদের ভ্রমণ কর থেকে মাসে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আয় হতো। এখন তা ৩ কোটিতে নেমেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দু–দেশে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬১০ জন যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ভারত থেকে এসেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার আর বাংলাদেশ থেকে গেছেন ৩ লাখ ৪৭ হাজার জন। অথচ আগে প্রতিদিন যাতায়াত করতেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।