আগামী বুধবার (২ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এক যুগ পর রংপুর যাচ্ছেন।
সেদিন জিলা স্কুল মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ এক যুগ পর তার এ সফর ঘিরে শহরে বইছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন দাবি পূরণের আশায় বুক বেঁধেছেন রংপুরের মানুষ। সফরে গিয়ে তিনি ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনের পাশাপাশি থাকবে নতুন প্রতিশ্রুতিও।
বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সফর ঘিরে, সাজানো হচ্ছে রংপুর শহর। এরইমধ্যে বিলবোর্ড আর ব্যানার–ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে অলিগলি। নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
রংপুরের মানুষের দাবি, রংপুর বরাবরের মতো অবহেলিত। প্রধানমন্ত্রী এসে এই অঞ্চলটাকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উন্নতি করবে। গ্যাস লাইনের আরও অগ্রগতি করবে, কলকারখানা তৈরি করবে, বেকারত্ব দূর করবে, রাস্তাঘাটের আরও উন্নতি প্রয়োজন, তিস্তার উন্নয়ন, পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় , ছাত্রাবাস, হোস্টেলের আরও উন্নতি দরকার।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১২ বছর পর রংপুরে প্রধানমন্ত্রী আসছেন। তিনি রংপুরের মানুষের কথা শুনবেন। উত্তরবঙ্গের এ অবহেলিত ও মঙ্গাপিড়িত জনপদকে তিনি মুক্ত করেছেন।
নানক বলেন, মঙ্গাপিড়িত এই অঞ্চলে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। এক যুগ পর প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উত্তরবঙ্গের জনপদ আজ উৎফুল্ল ও আনন্দিত বলে জানান কেন্দ্রীয় ওই নেতা।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, প্রায় এক যুগ পর প্রধানমন্ত্রী রংপুরে আসছেন। এ কারণে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের যে দায়িত্ব সে দায়িত্ব আমরা পালন করছি। পাশাপাশি আমাদের কিছু যৌক্তিক দাবি রয়েছে, রংপুর বরাবরের মতো অবহেলিত। বরাদ্ধের ক্ষেত্রে রংপুর অনেক পিছিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, বাজেট বৈষ্যমের বিষযগুলো আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব। দীর্ঘকাল ধরে তিস্তা বাস্তবায়নের কাজ স্থগিত রয়েছে। তিস্তা অববাহিকার দুইধারের নদী ভাঙ্গনের মানুষের আহাজারী মানোনীয় প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌছে দেয়া। সেক্ষেত্রে আমরা আশা রাখি তিনি আমাদের এই ছোটখাটো দাবি পূরণ করবেন।
শায়লা/ দীপ্ত নিউজ